বিশ্বকাপ ধামাকা |
অনলাইন ডেস্ক।। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলতে গেছে ভারতে। ধর্মশালায় দু’টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। আগামীকাল আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু সাকিব বাহিনীর। ১০ অক্টোবর এই ভেন্যুতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচ।খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন- বাংলাদেশের এই দলটা অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে গড়া। বিশ্বকাপের অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে কেবল বাংলাদেশেই আছেন ২০০৭ বিশ্বকাপ খেলেছেন এমন ক্রিকেটার। এটাকে কীভাবে দেখেন?এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন বলেন, ‘সেখান থেকেই আমার আশাটা। এবার না হলে আর কখন? আমাদের পুরো অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল আছে। অনেক ভালো পারফর্মাররা আছে। হয়তো কয়েকদিন আগেও চিন্তা ছিল শান্ত-হৃদয়রা বেশিদিন হয়নি বাংলাদেশ দলে খেলছে। কিন্তু তারা এখন টপ লেভেলে পারফর্ম করেছে। সেজন্য আমরা স্বপ্ন দেখতে পারি।’বাংলাদেশের পেসাররা গত কয়েক বছর ধরে দারুণ পারফর্ম করছেন। দলকে জেতাচ্ছেনও নিয়মিত। গত বিশ্বকাপ থেকে এই অবধি টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে ওয়ানডেতে সবচেয়ে ভালো বোলিং গড়টাও তাদের। এই সময়ে ৫৩ ম্যাচে ২৮.৪২ গড়ে ৩৮৭ উইকেট নিয়েছেন তারা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১.১১ গড় শ্রীলঙ্কার। ওই পরিসংখ্যান মনে করিয়েই আশার কথা শুনিয়েছেন সুজন।তিনি বলেন, ‘মিরাজ ভালো অলরাউন্ডার হয়ে গেছে। এটার প্রমাণ প্রতিদিন রাখছে। সাকিব, মুশফিক আছে অভিজ্ঞ, রিয়াদ আছে। আমাদের ইন্টারেস্টিং পেস বোলিং আছে। বিশ্বেই মনে হয় দ্বিতীয় স্ট্যাটের ভিত্তিতে (আসলে প্রথম এখন)। আমার মনে হয় না কমতি আছে। শুধু আমাদের এক্সপোজ করতে হবে নিজেদেরকে।’‘ওই স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে হবে। আমি চাই ছেলেরা ওভাবে লড়াই করুক মাঠে। আমি মনে করি আমাদের হারানোরও কিছু নাই, চাপেরও না। আমরা যদি ওই মন-মানসিকতা নিয়ে খেলতে পারি, যদি নিজেদের মেলে ধরতে পারি ঠিকমতো। চাপ আসবে, কিন্তু আমি চাপটা ওভাবে বলছি ফ্রিডম নিয়ে খেলতে হবে। তাহলে আমাদের সাফল্য আমাদের কাছে আসবে অবশ্যই।’বিশ্বকাপে দল নিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে সুজন বলেন, ‘আমি এর আগেও বলেছি, প্রত্যাশা বলবো না। আমি মনে করি আমাদের ভালো খেলার অনেক সুযোগ আছে। আমরা ভালো কিছু করতে চাই, আমরা সেমিফাইনালে যেতে চাই। আমি জানি কতটা কঠিন। অনেকে মানতেও নারাজ বাংলাদেশ কীভাবে পারবে। কিন্তু এটা ক্রিকেট খেলা। আমাদের সামর্থ্য আছে।’
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান