ইয়ামিন হোসেন।
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত ইমরান হোসেনের আইনজীবী (উকিল) হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না। আইনের পরীক্ষা দিতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন ইমরান।
গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশালের কীর্তনখোলা ও কালাবদর নদীর মোহনায় স্পিডবোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয় এবং ইমরান হোসেনসহ তিন যাত্রী নিখোঁজ হয়। অবশেষে রবিবার দুপুরে এই তিনজনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় চারজনের মরদেহ উদ্ধার হলো।
ইমরান ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের শাহাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে এবং দৌলতখান ভুমি অফিসে কমরর্ত ছিলেন।
অন্যরা হলেন স্পিডবোট চালক আল আমিন (২৩) ও মো. রাসেল আমিন (২৪)। চালক আল আমিন ভোলা সদরের চর ভেদুরিয়া এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে এবং রাসেল আমিন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নিওপাড়া এলাকার আজগর আলী হাওলাদারের ছেলে।
এ ছাড়া দুর্ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জালিস মাহমুদ (৫০) নামে এক যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল। তিনি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার বাসিন্দা জালিস হোসেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানিতে ভোলার বিক্রয় প্রতিনিধি (এসআর) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বরিশাল সদর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, রবিবার দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকেই মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ। পরে তিনটি মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ইমরানের মরদেহ গ্রামের বাড়ী ধনিয়াতে পৌঁছলে স্বজন ও বন্ধুবান্ধব এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে যায়। ইমরানের ফুটফুটে দুই বাচ্চার দিকে তাকিয়ে বার বার মুর্ছা যাবে তার গর্ভধারিণী মা।
ধনিয়া গোডাউন মাঠে হাজারো মানুষ জানাজায় উপস্থিত হয়ে শেষ বিদায় দিয়েছে তরুণ ইমরান হোসেন কে।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান