হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃটেসলা এবং স্পেসএক্স এর প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তার মা মেই মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে তিনি যখন ইলন মাস্কের সঙ্গে দেখা করতে যান তখন তার ছেলে তাকে ঘুমানোর জন্য গ্যারেজে রাখতেন। ব্রিটেনের অন্যতম প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য সানডে টাইমসকে’ দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন। মাস্কে মা একজন মডেল।অবশ্য চলতি বছরের শুরুর দিকে ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন তার কোনো ঘর-বাড়ি নেই। থাকেন বন্ধুর বাড়িতে। টুইট বার্তায় তখন তিনি বলেন, সবকিছু বেচে দিব। বাড়ি কিনব না। কিছুর দরকার নেই।সবকিছু থেকেও যেন নেই। ছেলে যেখানে বিশ্বের শীর্ষ ধনী, সেখানে মাকে রাত্রি যাপন করতে হলো একটি গ্যারেজে! ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ও মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্কের মায়ের সঙ্গে ঘটেছে এমন ঘটনা।মাস্ক আগে থেকেই বলে আসছেন, ‘কেউ নেই তার, কিছু নেই’। বিজনেস ইনসাইডারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গত ২৬ মার্চ বলেছিলেন, মাঝে মাঝে তো পোষ্য কুকুর ছাড়া কেউ পাশে থাকে না।কেউ সঙ্গে নেই, নাকি তিনি কাউকে সঙ্গে রাখতে চান না, সে প্রশ্ন উঠেছে এবার। মায়ের থাকার ব্যবস্থাপনায়ও স্পষ্ট হয়ে এসেছে তার বক্তব্য। ঘর নেই, বাড়ি নেই- এটা হয়তো হতে পারে। তাই বলে মা তার অফিসে গেলে এমন মানবেতর রাত্রি যাপন করতে হবে, তা কেউই ভাবেননি কখনও।একবার টেক্সাসে স্পেসএক্সের প্রধান কার্যালয়ে বেড়াতে গিয়ে কেমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন সানডে টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তা জানিয়েছেন মায়ে মাস্ক।
তিনি জানান, যদিও তার বিলিয়নেয়ার ছেলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, তবে মোটেই তিনি সম্পত্তিতে আগ্রহী নন। টেক্সাসের তার কার্যালয় পরিদর্শনে গেলে তাকে একটি গ্যারেজে ঘুমাতে হয়েছিল।অবশ্য চলতি বছরের শুরুর দিকে ইলন জানিয়েছিলেন, তার কোনো ঘর-বাড়ি নেই। থাকেন বন্ধুর বাড়িতে। টুইট বার্তায় তখন তিনি বলেন, সবকিছু বেচে দিব। বাড়ি কিনব না। কিছুর দরকার নেই।তবে তার এমন মন্তব্যের পর জানা যায় স্পেসএক্সের পাশের তার বাড়ি রয়েছে। যার মূল্য ৫০ হাজার ডলার। মাস্কের মা ইন্টারভিউতে আরও বলেন, মঙ্গলগ্রহে যেতে তার কোনো আগ্রহ নেই। কারণ মঙ্গলে যাওয়ার জন্য ছয় মাস ব্যাপী প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। যা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আমার ছেলে চায় আমি প্রস্তুতি গ্রহণ করি। ইলন মাস্ক ছাড়াও তিনি আরও দুই সন্তানের কথা তুলে ধরেন। যাদের মধ্যে একজন হলেন কিমবাল এবং অন্যজন টোসকা।