।। তাইফুর সরোয়ার ।।
আগামী কাল, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ৫ম ধাপে ভোলা জেলার দুই পৌরসভা (ভোলা পৌরসভা ও চরফ্যাশন পৌরসভা) সহ ২০ জেলার ৩০টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারের নির্বাচনের প্রতিটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। বেশির ভাগ ভোটারই এই যন্ত্রটির সঙ্গে ততটা পরিচিত নয় এখনও। এ কারণেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা ও মক ভোটের আয়োজনের মাধ্যমে ভোটারদের ইভিএমে ভোট দিতে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ভোট কেন্দ্রে একজন ভোটার আসার পর কেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে প্রিজাইডিং অফিসার প্রথমে ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড, আঙুলের ছাপ ও ভোটার নম্বর যাচাই করে ভোটার হিসেবে নিশ্চিত করবেন। এ সময় ভোটারের ছবি ও তথ্য একটি মনিটরে প্রদর্শিত হবে। যাতে সকল প্রার্থীর এজেন্টরা ভোটারের পরিচয় দেখতে পারেন। ভোটারকে শনাক্তকরণের পর গোপন কক্ষে থাকা ইভিএম মেশিনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সচল হবে। যতগুলো পদের জন্য ভোট প্রদান করতে হবে কক্ষের ভেতরে ঠিক ততগুলো ডিজিটাল ব্যালট ইউনিট রাখা থাকবে। এই ইউনিটে প্রার্থীদের প্রতীক বাম পাশে এবং নাম ডান পাশে দেখা যাবে।
ইভিএম এ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে তার প্রতীকের বাম পাশের সাদা বাটনে চাপ দিতে হবে। এ সময় প্রতীকের পাশে বাতি জ্বলে উঠবে। ভোট নিশ্চিত করতে ডান পাশের সবুজ বাটনে চাপ দিতে হবে। একই প্রক্রিয়ায় অন্যান্য পদের জন্যও ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কোনও কারণে যদি ভোটার ভুল প্রতীক শনাক্ত করেন তাহলে সবুজ বাটন চাপ দেওয়ার আগে তা সংশোধন করতে পারবেন। ভুল সংশোধনের আগে ভোটারকে ডান পাশের লাল বাটনে চাপ দিতে হবে। এতে ভুল করে দেওয়া পূর্বের ভোটটি বাতিল হয়ে যাবে। ফলে নতুন করে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। সঠিকভাবে পুনরায় প্রতীকের পাশের বাটনে চাপ দিয়ে সবুজ বাটনে চাপ দিলে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হবে।
সবুজ বাটন চাপ দেওয়ার পর ভোট দেওয়া প্রতীক ছাড়া বাকি সকল প্রতীক অদৃশ্য হয়ে যাবে। এতে ভোটার নিশ্চিত হবেন যে, ওই প্রতীকে তার ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে অবশ্যই কেন্দ্রে আসার আগে ভোটারকে তার ভোটটি কোন বুথে পড়েছে সেটি জেনে আসা ভালো। তাহলে আরও সহজেই ভোট দেওয়া সম্ভব হবে।