টিপু সুলতান : ইতেকাফে বসতে রাজি না হওয়ায় ইয়ামিন নামের এক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর মাদ্রাসা থেকে লাপাত্তা অভিযুক্ত শিক্ষক। ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। শিশুটিকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানা এলাকার আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ্ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগ কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিব রহমান। পুলিশ তাকে আটকের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
নির্যাতনের শিকার ইয়ামিন উপজেলার দুলারহাট থানা এলাকার নুরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। সে আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ্ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করতো।
এদিকে শিশুটিকে নির্যাতনের বেশকিছু ছবি বুধবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে।
নির্যাতনের শিকার ইয়ামিন হোসেনের পরিবারের অভিযোগ, ইয়ামিনকে ২০ রমজানে তার মাদ্রাসা শিক্ষক হাবিব ইতেকাফে বসতে বলেছিল। কিন্তু ইয়ামিন ইতেকাফে না বসে ওইদিন রাতে চুরি করে বাড়িতে চলে যায়। পরদিন সকালে সে মাদ্রাসায় আসলে শিক্ষক হাবিব ‘টাকা চুরির অপবাদ’ দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ইয়ামিনকে বেধড়ক মারধর করে মাদ্রাসার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
খবর পেয়ে একদিন পর পরিবারের লোকজন ওই তালাবদ্ধ কক্ষে গিয়ে ইয়ামিনকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি আছে।
দুলার হাট থানার ওসি মো. মাকসুদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা শিক্ষক হাবিব রহমানকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক আছে। পুলিশ তাকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান