মনজু ইসলামঃ
দ্বীপ জেলা ভোলার আসহায় মানুষের জন্য কোটি টাকা ব্যায়ে আইসিও ও ভেন্টিলেটর স্থাপনের আন্দালিভ রহমান পার্থর প্রস্থাব ফিরিয়ে দিলেন প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকের কাছে আইসিউ ও ভেন্টিলেটর স্থাপনের এমন প্রস্তাব রাখলে তিনি সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি এমন কোন কিছু নেয়ার সুযোগ নেই বলে মানবিক প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন।
ভোলা নিউজকে পার্থ বলেন, আমি যা করি প্রচার ছাড়াই করি, আমি সবার আগে ভোলার মানুষদের জন্যই কিছু করতে চেয়েছিলাম। তাই ডিসি সাহেবকে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, কিন্তু বেসরকারি ভাবে কোন কিছু করার সুযোগ নেই বলে আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন। তারপরেও ভোলার মানুষের জন্য যতটুকো সম্ভব জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত করার চেষ্টা করে যাবো।
ভোলার ২২ লক্ষ মানুষের জন্য ২৫০ শয্যার একমাত্র সদর হাসপাতালটির ১ বছর আগে ৭ তলা ভবনের কাজ শেষ হলেও উদ্ভোধন হয়নি। ৫০ শয্যার জনবলেই চলছে জোড়া তালি দিয়ে। ৫০ শয্যার জন্য যে পরিমান জনবল দরকার তার এক-তৃতীয়াংশ ও নেই এই মুহূর্তে। করোনা ইউনিট বন্ধ, হাসি কাশির রুগী হাসপাতালে ডুকতে মানা। নাই আইসুলেশন, ভেন্টিলেটর চিনেই না এখানকার কর্মকর্তারা।
এককথায় সিভিল সার্জন আর হাট বসানো সপ্তাহিক ডাক্তার ছাড়া কিছুই নাই। হোমা কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩শ এর বেশি। বিদেশ ফেরতরা ঘুরে বেড়িয়েছেন যত্রতত্র। তার উপর ইলিশা ঘাট দিয়ে মিছিলসহকারে ভোলায় প্রবেশ করছেন দেশি বিদেশী হাজার হাজার মানুষ। ঔষধের দোকানেও কোন ঔষধ মিলছেনা। সব মিলিয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে আছেন গ্যাস সমৃদ্ধ বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ জেলের মানুষ। মহান আল্লাহ ই এই অসহায় বিচ্ছিন্ন মানুষের এই অবস্থায় একমাত্র ভরসা।