ভোলা নিউজ ডেস্কঃ
ইলিশার রাস্তা যেন এখন প্রাণঘাতি মরন ফাদ। দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। ট্রাকস্টান্ড বাসস্টান্ড হচ্ছে হবে বলেও হচ্ছেনা। জংশনের সরকারী জমি লাগিয়ে খাচ্ছেন খোদ জেলা প্রশাসন নিজেরাই। মাঝে মধ্যে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমিতে লোক দেখানো অবৈধ উচ্ছেদ চালাচ্ছেন প্রশাসন। আর কত লাশ হলে ঘুম ভাঙ্গবে ভোলার প্রশাসনের প্রশ্ন ভোলার বন্দর নগরী ইলিশাবাসির। গত কালের তাজা দুটি প্রাণ ঝড়ে যাওয়া নিয়ে নিজের ফেইজবুকে লিখেছেন ইলিশার সমাজ সেবক আনোয়ার হোসেন। তার লেখাটি হুবাহু তুলে ধরলাম ভোলা নিউজ পাঠকদের জন্য…..
“ভোলা ইলিশা সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে!!! প্রতিনিয়ত ঘটে ছোট বড় দূর্ঘটনা। শুক্রবার বিকেলে দুই মোটর সাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু !!!
আর কত??
গত কয়েকমাস ধরে ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায় অধিকাংশই শুধুমাত্র বেপড়োয়া গতির জন্য ঘটছে। কখন মোটর সাইকেলের কখনো নসিমনের কখনো আলফা অটো কখনো বাস কখনো ট্রাক ছুটেছিল বেপড়োয়া গতিতে। সকাল থেকে লক্ষ্য করলে দেখবেন বাসগুলো দ্রুত ছুটে আসছে লঞ্চ ধরার জন্য যা সবিই কৃত্রিমভাবে ছুটে চলে মূলত বায়না অনুযায়ী লঞ্চ ধরিয়ে দেবার পায়তারা লাভের আশায় দ্রুত বেগে চলা। ফেরির সময়ে দূর পাল্লার বাসের প্রতিযোগীতা আগে উঠার। কিছুক্ষন পর শুরু হয় ট্রাকের প্রতিযোগীতা ওভারটেক করে উঠার জন্য ছুটে চলে ফলাফল প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার অনেক নজির রয়েছ তারপর শুরু হয় নসিমনের শহর অভিমুখে ছুটে চলা কোন ছাড় নাই দ্রুত যেতে ফলাফল একই । ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলে ছুটে চলে হন্নে হয়ে। পাশাপাশি কিছু উঠতি কিশোরের ছুটে চলা গতি বেপড়োয়া স্পিড কত উঠানো যায় তার প্রতিযোগীতা ফলাফল মাসে দুই একটা মৃত্যু ।
আর ট্রাফিক পুলিশ হলুদ মরিচের মিল পাহারায় মানে ঐ লোকেশনটা সবচেয়ে পারফেক্ট পকেট ভরার জন্য।
দেখার কেউ নেই কাজেই আমাদের সচেতনতা জরুরী আমাদের সচেতনাই পারে রোধ করতে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা।
ভোলা থেকে ইলিশা প্রতিটি বাজার কমিটি শক্তভাবে যানবাহনের গতি রোধ করতে পারলেই দূর্ঘটনা কিছুটা হলে কমবে।।।