আফগানিস্তানের স্পিন বিভাগ বেশ শক্তিশালী। ভারতের ধীর গতির ও টার্নিং উইকেটে সে কারণেই এবারের বিশ্বকাপে ভিন্ন কিছু করে দেখাতে মুখিয়ে আছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি।পুরো বিশ্বজুড়েই টি-টোয়েন্টি ফর্মেটে অন্যতম আগ্রহের নাম রশিদ খান। এই ফর্মেটে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের বোলার হিসেবে শীর্ষ নামটিও তার, ওয়ানডেতে তিনি আছেন র্যাঙ্কিংয়ের পঞ্চম স্থানে। কিন্তু রশিদকে ছাড়াও আফগান দলে আরোও কয়েকজন তারকা স্পিনার আছেন। মোহাম্মদ নবি, মুজিব-উর-রহমান, নুর আহমেদ যেকোন সময়ই বড় কোন দলের বিপক্ষে দলকে জয় উপহার দেবার ক্ষমতা রাখে। তবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে পেস আক্রমনের সীমাবদ্ধতা ও ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাবে আফগানিস্তান খুব বেশি দূর এগুতে পারছে না।এ বছর নয় ম্যাচে তারা মাত্র দুটিতে জয়ী হয়েছে। সম্প্রতি এশিয়া কাপের তারা প্রথম রাউন্ডের বাঁধা টপকাতে পারেনি। অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদী ব্যাটারদের ব্যর্থতাকেই বাজে পারফরমেন্সের কারণ হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছেন।জুলাইয়ে বাংলাদেশে তিন ম্যাচ সিরিজে জয়ী হয়েছিল আফগানরা। শাহিদী বলেছেন, ‘গত দুই বছর আমরা ভাল ক্রিকেট খেলছি। কিন্তু গত চার থেকে পাঁচ ম্যাচে আমরা সাধ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি।’এরপরও ভারতে দলের ঘুড়ে দাঁড়ানোর ব্যপাে আত্মবিশ্বাসী আফগান অধিনায়ক, ‘এশিয়া কাপ আমাদের জন্য একটি সতর্ক বার্তা ছিল। একইসাথে এর অর্থ এই নয় যে আমরা ভাল খেলিনি। বিশ্বকাপের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত, আশা করছি এখানে ফলাফলও ভিন্ন হবে। আমার দলের উপর পূর্ণ আস্থা আছে।’সাম্প্রতিক ব্যর্থতা সত্ত্বেও ঘরের মাঠে আফগান দলের প্রচুর সমর্থক আছে। গত কয়েক দশকে যুদ্ধ বিধস্ত আফগানিস্তানে পুরো জাতিকে একত্রিত করেছে একমাত্র তাদের ক্রিকেট। দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাবার আগে শাহিদী বলেছেন, ‘আমাদের সমর্থকরা সবসময়ই আমাদের পাশে ছিল। তাদের প্রতি আমরা সবাই কৃতজ্ঞ। তাদেরকে কিছু দেবার সর্বোচ্চ চেষ্টা আমরা করবো। দেশের মানুষ আমাদের কাছে অনেক কিছু আশা করছে। তারা চায় আমরা যেন ভাল খেলে ভারতে কিছু করে দেখাতে পারি।’
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান