মনজু ইসলাম / টিপু সুুলতান
ভোলা জেলার জেলা ও দায়রা জজ এবং পাবনার কৃতীসন্তান ড. এবিএম মাহমুদুল হক সাহেবের আজ শুভ জন্মদিন। ১৯৭৪ সালের আজকের এই দিনে (১৭ সেপ্টেম্বর) তিনি পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আলহাজ আইনুল হকও (১৯৪৯–২০০৭) বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) ছিলেন । মাতা মাহমুদা হক গৃহিণী।ড. এবিএম মাহমুদুল হক পিতার চাকরির সুবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে অধ্যয়ন করেন । তিনি রংপুর জিলা স্কুল থেকে ১৯৮৬ সালে জুনিয়র বৃত্তিপরীক্ষায় বৃত্তি পান। ১৯৮৯ সালে বরগুনা জিলা স্কুল থেকে স্টার মার্কসসহ সমগ্র বরগুনা জেলায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে প্রথম বিভাগে এসএসসি এবং ১৯৯১ সালে এমআর কলেজ, পঞ্চগড় থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৫ সালে এলএলবি (অনার্স) ও ১৯৯৬ সালে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৬ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস)-এর এমফিল/পিএইচডি ফেলোশিপ প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ফেলোশিপপ্রাপ্ত হন । তিনি বিকল্প নিষ্পত্তি বিষয়ে গবেষণা করেন এবং গবেষণার কাজে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন সামাজিকবিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ থেকে গবেষণা মঞ্জুরিপ্রাপ্ত হয়ে বাংলাদেশের দশটি জেলা ও ভারতের দুটি প্রদেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন । ২০১১ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।ড. এবিএম মাহমুদুল হক ১৯৯৭ সালে ১৮-তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিচার ক্যাডারে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন এবং ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দেন । কর্মজীবনে তিনি সহকারী জজ ও সিনিয়র সহকারী জজ হিসেবে সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে এবং যুগ্ম জেলা জজ ও অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে রংপুর, রাজশাহীতে সফলতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৩ সালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি পেয়ে রংপুর জজ-আদালতে যোগ দেন । ২০১৪ সালে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগ দেন । এরপর কুষ্টিয়া জজ আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে কর্মরত অবস্থায় ২০১৮ সালে জেলা জজ পদে পদোন্নতি পান এবং জয়পুরহাট জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক পদে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর তাঁকে ভোলা জেলার জেলা ও দায়রা জজ পদে পদায়ন করা হয়। ৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে তিনি ভোলা জেলার জেলা ও দায়রা জজ পদে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন।ড. মাহমুদুল হক কর্মজীবনে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা সফরে অংশগ্রহণ করেছেন । তিনি একজন সুলেখক । তাঁর প্রথম রচিত বই– “Alternative Dispute Resolution in Bangladesh : Challenges & Prospect”–২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়েছে । তাঁর লেখা গবেষণা-লব্ধ প্রবন্ধ এবং অসংখ্য কবিতা বিভিন্ন জার্নালে নিয়মিত প্রকাশ হয়ে থাকে।আমরা ড. এবিএম মাহমুদুল হকের দীর্ঘজীবন ও কর্মজীবনের সর্বোচ্চ সফলতা এবং আমৃত্যু সুস্থতা কামনা করি। আমিন