ডেস্ক রিপোর্ট।। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, শিক্ষা অনুরাগী, ইসলামী পুস্তক প্রনেতা, সমাজ সেবক মরহুম মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ এর আজ ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২০ সালের এই দিনে (১৭ই আগস্ট) ঢাকার একটি হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে মরহুমের বয়স হয়েছিলো ৯০ বছর।মরহুমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে হাজীপুর সিনিয়র মাদ্রাসা, মোবারক আলী হেফজ খানা, বাংলাদেশ সীরাত একাডেমী, ভোলা সমিতি অস্ট্রেলিয়া শাখা, সীরাত একাডেমী, সিডনি শাখা বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করার কথা রয়েছে। এছাড়াও যুক্তরাজ্য, স্কাটল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরেও বিশেষ দোয়া ও মোনাজত করা হবে। মরহুমের পরিবারবর্গদের পক্ষ থেকে তার পুত্র অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কবি হায়াত মাহমুদ সকলকে দোয়া করার জন্য স্ববিনয় অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মাওলানা মোঃ হাবিবুল্লাহ ১৯৩১ সালে দৌলতখানের হাজীপুরে জন্ম। পিতা মাওলানা আব্দুর রহিম বড় হুজুর প্রথমে হাজিপুর সিনিয়ার মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। পরে ১৯৪৫ সালে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ’৪৭ সালে কলকাতা থেকে আলিয়া মাদ্রাসা ঢাকায় চলে আসলে তিনি ঢাকা আলিয়ার শিক্ষার্থী হয়ে যান। এখান থেকেই তিনি কামিলসহ উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। এ সময় তিনি মাদ্রাসা ছাত্রদের সংগঠন জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার নেতৃত্ব দেন। ফলে তখনকার মুসলিম লীগ ও পাকিস্তান আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিনসহ সকল নেতার সাথে কাজ করার সুযোগ পান। তাদের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে তিনি বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠন, যাকাত বোর্ড গঠন, ইসলামিক একাডেমী প্রতিষ্ঠা, ধর্ম মন্ত্রণালয় ও শুক্রবার ছুটিসহ বিভিন্ন ইসলামী কার্যক্রমে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম। তিনি সীরাত একাডেমীর চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সংস্থার মাধ্যমে ধর্মীয় খেদমত করেছেন। ইসলামী সংহতি পরিষদ ও তানজিমুল ওলামা নামের আরও দু’টি সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইসলামের উপর একাধিক পুস্তক লিখেছেন। ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে সবসময় স¤পৃক্ত ছিলেন। তার চার পুত্র, দুই কন্যা সবাই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। ৩য় পুত্র কবি হায়াত মাহমুদ দীর্ঘদিন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। তিনি ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট ইন্তেকাল করেন। একজন ইসলামী চিন্তাবিদ, সংগঠক ও সামাজিক ব্যাক্তিত্ব হিসেবে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান