ডেস্ক: অনলাইন,ভোলানিউজ.কম,
সাবেক বিজিবি প্রধান আজিজ আহমেদকে সেনাপ্রধান নিয়োগের বিষয়ে যে কথা ছড়িয়েছিল, সেটিই সত্যি হলো। ২৫ জুন থেকে তার এই নিয়োগ কার্যকর হবে। যে আদেশে তাকে সেনাপ্রধান করা হয়েছে, সেই আদেশে তাকে জেনারেল পদে পদোন্নতিও দেয়া হয়েছে।
ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসেই এই সুখবরটি পেলেন আজিজ আহমেদ। সোমবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবু বকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপনে আজিজ আহমেদের মেয়াদ কত দিন হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সংসদে পাস হওয়া এক বিলে বলা হয়েছে তিন বাহিনীর প্রধানের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ চার বছর।
আজিজ আহমেদ হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের অষ্টাদশ সেনাপ্রধান। বর্তমান সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক সপ্তদশ সেনাপ্রধান হিসেবে ২০১৫ সালের ২৫ জুন নিয়োগ পেয়েছিলেন। সেই হিসেবে ২৪ জুন তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান আজিজ আহমেদ। চার বছর এই দায়িত্ব পালনের পর ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর তার মেয়াদ শেষ হয়। সেদিন তাকে মেজর জেনারেল থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে ‘আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন্যাল কমান্ড’এর জিওসি হিসেবে বদলি করা হয়।
১৯৬১ সালের ১ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেন আজিজ আহমেদ। তবে তার পৈত্রিক বাড়ি চাঁদপুরে। তার বাবা আব্দুল ওয়াদুদ এবং মা রেনুজা বেগম।
আজিজ আহমেদ অষ্টম বিএমএ দীর্ঘদেয়াদী কোর্স শেষে ১৯৮৩ সালের ১০ জুন সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশনপ্রাপ্ত হন। তিনি পাবর্ত্য চট্টগ্রামে জিএসও-৩ (অপারেশন), পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর, সেনাসদর প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের গ্রেড-২ এবং সেনাসদর, বেতন ও ভাতা পরিদপ্তরের গ্রেড-১ স্টাফ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।
একটি আর্টিলারি ইউনিট, একটি বিজিবি ব্যাটালিয়ন, বিজিবির একটি সেক্টর, স্বতন্ত্র এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেডসহ মোট দুইটি আর্টিলারি ব্রিগেড এবং একটি পদাতিক ডিভিশনে কমান্ড করেন আজিজ আহমেদ।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে ইরাক-কুয়েত এ পর্যবেক্ষক এবং ২০০৫-২০০৬ সালে সুদানে জাতিসংঘ মিশন এ ফোর্স কমান্ডার এর সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আজিজ আহমেদ।
দীর্ঘদিন স্কুল অব আর্টিলারি এবং স্কুল অব মিলিটারি ইনেটলিজেন্সের প্রশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন নতুন সেনাপ্রধান। তিনি ২০১২ সালের ৭ মে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
১৯৮৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (পাস), ১৯৯৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার অব ডিফেন্স স্টাডিজ ও ২০০৮ সালে এমএসসি (টেকনিক্যাল) এবং ২০০৮ সালে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ইন বাংলাদেশ-এআইইউবি থেকে এমবিএ (এক্সিকিউটিভ)করেন।
এর আগে গত ৫ জুন মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাতকে এয়ার মার্শাল পদে পদোন্নতি দিয়ে তিন বছরের জন্য বিমানবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার নিয়োগ কার্যকর হয় ১২ জুন থেকে।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১৮জুন-২০১৮ইং)