অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,
বর্তমানে দর্শকরা বেশ সচেতন। তারা একের মধ্যে অনেক কিছু পেতে চান। তাই একটি চলচ্চিত্রে কেবল ভালো গল্প কিংবা অভিনয় দিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মন জয় করা কঠিন। যে ক্ষেত্রে বাড়তি মাত্রা যোগ করছে আইটেম গান। গত কয়েক বছর ধরে যে কোনো ধরনের ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে একটা বড় ভূমিকা রেখে চলেছে এটি। তাই আইটেম নম্বরের অভিনেত্রীদের কদরও বেড়েছে। বেড়েছে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি পারিশ্রমিকও।
কারিনা কাপুর
অভিনেত্রী হিসেবেই তাঁর বেশি হাঁকডাক থাকলেও আইটেম নম্বরেও কম যান কারিনা কাপুর।। সে ‘ডন’-এর ‘ইয়ে মেরা দিল’ হোক, ‘ফেবিকল সে’ হোক বা হোক সে ‘হলকট জওয়ানি’ বা ‘ছম্মক ছল্লো’ কারিনার সব আইটেম নম্বরই ভক্তদের বড় পছন্দের। এজন্য তার পারিশ্রমিকের অংকটা অন্য যে কারও চেয়ে যে দেড় বেশি। একটা আইটেম নম্বরের জন্য তিনি নেন প্রায় ৫ কোটি টাকা।
সানি লিওন
সাবেক পর্নস্টার বলিউডে স্থায়ী হলেও আইটেম গানেই দর্শকদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ‘বেবি ডল’, ‘দেশি লুক’— এই সব গানে আলাদা মাত্রা যোগ করেছেন অভিনেত্রী। একটা আইটেম নম্বর করতে সানি নেন ৩ কোটি টাকা।
মল্লিকা শেরাওয়াত
বেলি ড্যান্স হোক বা নাচের অন্য কোনো ধরণ বলিউডে মল্লিকা শেরাওয়াতের বিকল্প পাওয়া দুষ্কর। ‘গুরু’ ছবিতে ‘মাইয়া মাইয়া’ গানে তাঁর নাচের স্টেপগুলো যেন এখনও ভুলতে পারেনি দর্শক। একটা আইটেম নম্বরের জন্য দেড় কোটি টাকা নেন মল্লিকা।
মালাইকা অরোরা খান
আইটেম গান দিয়েই বলিউডে অভিষেক মালাইকা অরোরা খানের। চলন্ত ট্রেনের উপরে সেই ‘ছাঁইয়া ছাঁইয়া’ গানে মালাইকার নাচ মন ছুঁয়েছিল দর্শকদের। বহুদিন পর আবার ‘পটাখা’ ছবিটিতে একটি আইটেম নম্বরে দেখা গেছে মালাইকাকে। একটি আইটেম নম্বরের জন্য কোটি করে টাকা নেন মালাইকা।
বিপাশা বসু
আইটেম নম্বরে বিপাশা বসুর নাচও ভুলতে পারেন না দর্শক। ‘ফুঁক দে’ হোক আর হোক সে ‘রিড়ি জালাইলে’— বিপস-এর নাচ দর্শকদের মনে এখনও গেঁথে রয়েছে। একটি আইটেম নম্বরের জন্য মালাইকার মতো বিপাশা নেন কোটি টাকা।
জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের আইটেম নম্বর নিয়েই দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা কম নয়। ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ গানে জ্যাকুলিনের নাচ ছিল তাঁর ভক্তদের মনপসন্দ। জ্যাকুলিন একটি আইটেম সংয়ের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা নেন।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১৩সেপ্টেম্বর-২০১৮ইং)