পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকির মুন্সিরহাট থেকে অটোরিক্সাসহ নিখোঁজ অটোরিক্সা চালক আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের দুদিন পর বুধবার দুপুরে পাঙ্গাশিয়ার তেতুলবাড়িয়া থেকে চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে । এক অটোরিক্সা চালক রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে জানায়। দুমকি থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এসময় মৃতদেহের পাশে দুটি ছুরি, একটি গামছা ও একটি মাক্স জব্দ করে। এদিকে, নিহতের অটোরিক্সা ছিনতাই ও হত্যার সাথে জড়িত রাজিব ও রবিউল নামে গতকাল ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার গলাচিপার হরিদেবপুর থেকে আটক করা হয়েছিলো। ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা সেখান থেকে জব্দ করা হয়। এঘটনায় আরো দুজন জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানা। খুন হওয়া অটোরিক্সা চালকের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের পার কার্ক্তিকপাশা গ্রামে। হত্যার সাথে জড়িত গ্রেপ্তারকৃত দুই যুবকের বাড়ি একই ইউানয়নের মৌকরন কাচারীঘাট এলাকায়। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ২ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যারাতে দুমকির মুন্সিরহাট এলাকায় অটোরিক্সা নিয়ে অবস্থান করছিলো চালক আনোয়ার হাওলাদার। রাত নয়টায় মোবাইলে কল আসলে মৌকরন থেকে যাত্রী নেয়ার জন্য। মুন্সিরহাট থেকে মৌকরন যাবার পর থেকে অটোরিক্সাসহ নিখেোজ হন ওই চালক। ছিনতাই ও হত্যা চক্রের দুই সদস্য রাজিব ও রবিউল গতকাল মঙ্গলবার সকালে গলাচিপার হরিদেবপুর খেয়াঘাট এলাকায় অটোরিক্সা বিক্রি করতে গিয়ে স্থানীয় লোকদের হাতে আটক হয় পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ আটককৃত দুজনকে নিয়ে দিনভর অভিযান চালালেও বিভ্রান্তিমুলক তথ্য দেয়ায় চালকের সন্ধান পাননি। সকাল সাড়ে নয়টায় পাঙ্গাশিয়ার তেতুলবাড়িয়া রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে মৃতদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ও নিহতের স্বজররা এসে লাশ শনাক্ত করে। লশের সুরাতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মর্গে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিংক ঃশেখ বিল্লাল হোসেন, এ কথা জানান।