পারভেজ আহমেদ মুন্না
একুশ শতকে করোনা ভাইরাসের মতো মারাত্মক সংক্রমণ ছেয়ে গেছে ভোলায় অশ্লীল ছবি ও পণ্যগ্রাফীর পথ ছবি। বেশিরভাগ পথ প্রান্তে এ ধরন ছবি যুবে মন মস্তিষ্ক বিনষ্ট করতে ছড়ি পড়ছে মহামারি মত।
ভোলা সদরের বেশির ভাগ দোকানের দেয়ালে,বৈদ্যুতিক খুঁটি এমনকি বিদ্যালয়ের প্রাচীরেও দেখা যাচ্ছে এসব পোস্টার। নগ্নতাকে এতো বাজে ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে এসব পোস্টারে যে তা স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী হতে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরও মানসিক বিকার ঘটাতে যথেষ্ট।
দেশের ও জাতির ভবিষ্যৎ যেই শিক্ষার্থীরা,তারা যদি তাদের শিক্ষাজীবনের শুরুই করে পথে দেখা এসব বাজে জিনিস দেখে তবে তারা কীভাবে ব্যক্তিসম্পন্ন ও চরিত্রবান মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে,তা এখন অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।এসব অশ্লীলতা তাদের কোমল হৃদয়ে যে আঘাত করেছে,তা সত্যিই অপূরণীয়।
তাই সমাজের উন্নতির ধারা বজায় রাখতে ভোলার মনোরম পরিবেশে আবার শালিনতা নিয়ে আসা দরকার।শিশুদেরকে তাদের রুচিশীল বিকাশ ঘটতে দেওয়া অত্যম্ত প্রয়োজন।তাই এসব অশ্লীলতা দূরীকরণে উপরমহলকে তৎপর হওয়া জরুরী ।তৎপরতা ও সচেতনতা সর্বোপরি মানবিকবোধের বিকাশই এই সমস্যা দূর করার একমাত্র উপায়।
বেশ কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা জানিছেন, ধর্ষনমুক্ত সমাজ গড়তে অশ্লিল পন্যগ্রাফি বন্ধ একন্ত প্রয়োজন এবং নারী পুরুষের অবাদ মেলামেশার জন্যও এ ধরনের অসামাজিক নাটক,মুভি,শর্টফ্লিম বন্ধ করতে হবে।
সাংস্কৃতিক কর্মী জে এম ফিরোজ মনে করেন, এই সংক্রমণের হাত থেকে মুক্ত করতে ছাত্র ও যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে,অশ্লীলতা ছড়ানোর সমাজকে পরিবর্তনে প্রশাসনের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।।