বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
মাগুরা জেলার মুহম্মদপুরে ৭মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রী মুক্তা পারভীন (২৭) এর উপর আওয়ামীলীগ নেতার হামলার ঘটনা ঘটেছে। যথাসময়ের তিন মাস পূর্বে গত ২২ জুন আঘাত জনিত কারণে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপরিণত এবং কম ওজনের একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন তিনি। প্রসবের ৪দিন পর চিকিৎসাধীন নবজাতকটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
হামলার ঘটনায় মুক্তার স্বামী মসলেম আলী মোল্যা বাদি হয়ে পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ সিকান্দার আলীকে প্রধান আসামী করে মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন । মামলা নং- ১৬। এদিকে মামলার ৫দিন পার হয়ে গেলেও আসামীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাঁশ বিক্রয়ের পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৪ জুন আওয়ামীলীগ নেতা সিকান্দার আলীসহ ৬জন মুক্তার পিতার বাড়ি উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুক্তার ভাই আহাদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ডাকতে থাকে। আহাদ ভয়ে আত্মগোপন করলে ৭ মাসের অন্তঃসত্তা মুক্তা বেরিয়ে এসে গালিগালাজ বন্ধ করতে বলে। এতে সিকান্দার আলীসহ মামলার আসামীগন ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তার পারভীনকে রক্তাক্ত এবং ফোলা বেদনাযুক্ত জখম করে। মুক্তা অজ্ঞান হয়ে পড়লে আসামীরা ভাংচুর ও লুটপাট করে। এরপর তার ভাই আহাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং আসামীরা স্থান ত্যাগ করে। মুক্তাকে প্রথমে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ সিকান্দার আলী ঘটনাটি তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত বলে দাবি করছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ দুই বছর ধরে এই পরিবারটিকে আর্থিকভাবে সহায়তা দিয়ে এসেছি। ম্ক্তুার ভাই আহাদ আমার সাথে চলাফেরা করত। কিন্তু বর্তমানে আমার প্রতিপক্ষের সাথে মিশে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালাচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
মহম্মদপুর থানার ওসি (তদন্ত) এবং মামলার তদন্ত অফিসার লিটন কুমার সরকার জানান, আসামীরা আত্মগোপনে আছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।