অনৈতিক কাজে বাঁধা দেয়ায় বৈশাখী কর্তৃক ভাই ও ভাবীকে নির্যাতন

 

 

 

 

 

ভোলা প্রতিনিধি

ভোলা সদর যোঘীর ঘোল. ( পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ড) এলাকার মৃত রতন ও ফরিদা বেগমের মেয়ে কুলসুম বেগম বৈশাখীর রমরমা দেহ ব্যাবসা ও ইয়াবা ব্যাবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বৈশাখী কর্তৃক তার ভাই ও ভাবীকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে পাংগাশিয়া এলাকায় তার বিয়ে হয় এবং একটি কন্যা সন্তান জন্মের পর সে স্বামীর অনুপস্থিতে একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে এবং স্বামী এসব জানতে পারলে তাকে তালাক দেয়। কিছুদিন পরে পৌর আলগীর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলের ( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে ও পরবর্তিতে তাকে আটকিয়ে বিয়ে করে এবং এক বছর পরে অজানা কারনে তালাক হয়। ২০১৪ সালে কাচিয়া ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাড়ির মোঃ খোকনের সাথে কুলসুম বেগম বৈশাখীর বিয়ে হয় এবং বিয়ের দুই বছর পরে খোকন তাকে দেহ ব্যাবসায়ের অভিযোগে তালাক দেয়। ২০১৬ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত সে প্রকাশ্যে দেহ ব্যাবসা এবং তার ছোটভাই সুজনকে দিয়ে ইয়াবা ব্যাবসা করে যাচ্ছে। তার ছোটভাই সুজন ইয়াবা সহ একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।উল্লেখ্য সর্বশেষ গত ২৬/০২/২০২০ তারিখে বুধবার সুজন মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়।এলাকার লোকজনের মাধ্যমে জানা যায়, কুলসুম বেগম বৈশাখীর ঘরে প্রতিদিন একাধিক খদ্দের অাসে তাদের যৌন চাহিদা মেটানো ও ইয়াবা ক্রয়ের জন্য। ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৬/০২/২০২০ সকালে একজন লোক বৈশাখির সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে বৈশাখীর ভাই সুমন বাধা প্রদান করে, এতে বৈশাখী ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাই সুমন ও ভাবি জান্নাতকে ব্যাপক মারধর করে গুরুতর অাহত করে৷ বড় ভাই ও ভাবী তার এ কাজে নিষেধ করায় তারাও তার সন্রাসী আক্রমনের স্বীকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে উলটো চলে যেতে বলেন, এলাকার মানুষের ভাষ্যমতে সুন্দরী হওয়ার কারনে অনেকের সাথেই তার রয়েছে সুসম্পর্ক তাই তিনি যা খুশি তাই করতে পারেন।এবিষয়ে এলাকার মানুষ জানতে পেরেছে তার ছোট ভাই সুজন পুলিশের হাতে মাদক বিক্রীর অপরাধে আটক হওয়ার পরে।ভুক্তভোগী তার সাবেক স্বামী মোঃখোকন জানিয়েছেন আমি ওকে নিজের চেয়েও বেশি ভালবাসতাম, ভালবেসে বিয়েও করেছি কিছুদিন যেতেই দেখি ওর সাথে অন্য পুরুষের সাথে প্রেমের সম্পর্ক, নিষেধ করায় আমাকে মেরে ফেলার চেষ্ঠা করে,পরে ও আমার দেওয়া সব স্বর্ণলংকার, নগদ টাকা নিয়ে উদাও। এরকম অনেক পুরুষের সাথেই ওর অনৈতিক সম্পর্ক আছে। প্রতিবেশিরা জানায়, একাধিক পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কিছুদিন পরেই তালাকের ফান্দে ফেলে টাকা উপার্জন। এতে করে ভোলা জেলার অনেক টাকাওয়ালা, রাজনৈতিক,প্রভাবশালী নেতাদের সাথে তার রয়েছে গভীর সম্পর্ক।

SHARE