এন আল মাসুদঃ
অনন্য উচ্চতায় পি পি কিরণ তালুকদার। ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পি পি এডভোকেট গোলাম মোরশেদ কিরণ তালুকদার। ভোলার বনেদি পরিবারের সন্তান নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের পি পি র দায়িত্ব নিয়ে ভোলা বারের তরুণ আইনজীবীদের আইনি সহয়তার আদেশ উপদেশ দিয়ে অল্প সময়ে খুবই কাছের মানুষে পরিনত হন।
আর এই একটি কারণেই ভোলা আইনজীবী সমিতির সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে সর্বাধিক ভোটের ব্যবধানে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এর পরেই ভোলার অবহেলিত নারীদের আইনী সহয়তার মাধ্যমে ভোলার নারী ও শিশু আদালতকে খুবই আস্থার জায়গায় পরিনত করে তোলেন। মামলা জট কমাতে সাক্ষীদের নিয়মিত সাক্ষ্য গ্রহনে সচেষ্ট হয়ে সফলও হয়েছেন এই প্রতিভাধর পিপি। যৌতুকের জন্য হত্যা, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা, ধর্ষন ও অপহরণ মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিচারের জন্য প্রস্তুত করে আসামীদের বিচারের মুখোমুখি দাড় করান খুবই সফলতার মাধ্যমে। এতে করে ভোলায় উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমে যায় মামলার জট। এই কাজ গুলো সহজ করে তুলতে তাকে যে মানুষটি সবচাইতে বেশি সাহয়তা করেছেন তিনি হলেন বিচার ও আইনজীবী বান্ধব নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের ভোলার প্রথম জজ মোহাম্মাদ আতোয়ার রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় ভোলায় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে পারিবারিক সমস্যা নিয়ে করা মামলাগুলো উভয় পক্ষকে বসিয়ে মিমাংশার মাধ্যমে সমাধান করে ভোলায় অহসহায় মানুষদের পারিবারিক সমস্যা কমিয়ে দিয়েছেন কল্পনাতিত ভাবে। উদীয়মান পিপির এই অনন্য কৃর্তির জন্য ভোলার সুশীল সমাজ সহ জেলার সকল স্তরের বিচার প্রার্থীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন গরিবের আইনজীবী খ্যাত কিরণ তালুকদারকে। সাম্প্রতি তার কাজের মানের প্রতি সুবিচার দেখিয়ে তাকে পৃরস্কুত করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। গোলাম মোরশেদ কিরণ তালুকদার ভোলা নিউজকে বলেন, বিচারপতিদের দেয়া পুরস্কার বড় কথা নয়, বড় প্রাপ্য হলো ভোলার অবহেলিত নারী ও শিশুদের জন্য কাজ করতে পেরে। আর এই কাজ করার সুযোগ তৈরী করে দেয়ার জন্য আমার অভিবাবক জননেতা তোফায়েল আহমেদ ও ভোলা-২ আসনের এমপি আলি আজম মুকুলসহ ভোলার এমপিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিশেষ করে ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের জজ আতোয়ার রহমানের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দেখিয়ে বলতে চাই তিনি এভাবে আরো কিছুদিন বিচার কাজ চালাতে পরলে ভোলায় কোন নারী ও শিশু মামলার জট থাকবে না।