আরিফুর রহমানঃ
ভোলা নিউজ-২৩.০৭.১৮
পাস না করেই চরম দুর্নীতি ও জাল-জালয়াতির মাধ্যমে অধ্যক্ষ পদ দখল। পদ দখলের লোমহর্ষক দুর্নীতির চিত্র দেখলে যে কেউ আঁৎকে উঠবেন।ভোলা নিউজের পাঠকদের জন্য ইলিশা ইসলামিয়া মডেল কলেজের অধ্যক্ষ পদ দখলের সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হলো ( ক) অধ্যক্ষ পদের জন্য পত্রিকায় ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ প্রদান ও নিয়োগ বোর্ড গঠন এবং নিয়োগ অনূমোদন রেজুলেশনে মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন সম্পদক হিসেবে স্বাক্ষর করেন। (খ) কলেজে অধ্যক্ষ পদে ৩১/০৭/২০০০ ইং তারিখে নিয়োগ এবং ০১/০৮/২০০০ ইং তারিখে যোগদান করেন। অথচ স্নাতকোত্তর সনদ প্রাপ্ত হন ৩০/১২/২০০২ ইং সালে। (গ) স্থানীয় ‘দৈনিক বাংলার কন্ঠে’ ‘বৈধ করন’ বিজ্ঞপ্তি’ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় ১৮/০৬/২০০০ ইং তারিখে, অথচ পত্রিকায় ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ করা হয় ১১/০৫/২০০০ ইং তারিখে। (গ) নিয়োগ সংক্রান্ত পত্রিকায় ‘বৈধ করন’ বিজ্ঞপ্তি’ ও নিয়োগ বোর্ড গঠন রেজুলেশনের উপরের তারিখ লেখা আছে ১৮/০৩/২০০০, অথচ নিচে কার্য বিবরনীতে লেখা রয়েছ অদ্য ১৮/০৬/২০০০ইং। ১৮/০৩/২০০০ইং তারিখে ছিল শনিবার কিন্তু লেখা হয়েছে রবিবার। এখানে মূলতঃ উপরের তারিখটি ওভার রাইটিং করা হয়েছে। (ঙ) পত্রিকার ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ তে অধ্যক্ষ সহ মোট ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ করা হবে বলা হলেও বিজ্ঞপ্তির বিবরনীতে মোট ২৪টি পদের উল্লেখ রয়েছে। যুক্তবিদ্যা, বাণিজ্যিক ভূগোল, শরীরচর্চার পদ গুলো হাতে লেখা হয়েছে। অধ্যক্ষ পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে শুধু এম. এ পাশ। অথচ অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য কমপক্ষে ১২ বছরের প্রভাষক পদে চাকুরীর অভিজ্ঞতা সহ সকল শ্রেণিতে ২য় বিভাগ। হতবাক করার মত ব্যপার হলো- নিজাম নিয়োগ কালিন সময়ে আলিম শ্রণিতে ৩য় বিভাগ প্রাপ্ত শুধুমাত্র বি. এ পাশ। (চ) নিয়োগ অনূমোদন রেজুলেশনের উপরের তারিখের জায়গায় লেখা আছেঃ ৩১/০৭/২০০০ইং অথচ নিচে কার্যবিবরনীতে লেখা রয়েছে ১০/০৭/২০০০ ইং। (ছ) নিয়োগ বোর্ড সদস্য এন. এন. তাজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ, সরকারী ভোলা কলেজ/ অধ্যক্ষ, সরকারী ফজিলতুন নেসা মহিলা কলেজ থাকলেও তাদের একজনও উপস্থিত ছিলেন না। (জ) অধ্যক্ষ পদে আবেদন কারী ৫ জনের মধ্যে ২জনকে কোন কারন ছাড়া বাতিল করে ৩জনের মধ্যে বিনা পাশের নিজামকে কেন নিয়োগ দেয়া হল তা কোটি টাকার প্রশ্ন। (ঝ) নিয়োগ বোর্ডের প্রদত্ত নম্বর ফর্দে নিজামের শিক্ষাগত যোগ্যতা বি.এ. বিএড, এম. এ, এম. এম (কামিল হাদীস বিভাগ)। অথচ সে তখন এম. এ. পরীক্ষাই দেয়নি। এতেই প্রমাণিত হয় নিয়োগের সময় নিজাম এম.এ পাশের একটি জাল সনদ প্রদর্শন করেছে। (ঞ) নিয়োগ বোর্ড সদস্য মোঃ হাদিসুর রহমান হালিম খাতুন স্কুল এন্ড কলেজ,পরানগঞ্জ, ভোলা’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ বোর্ডের রেজুলেশন ও নম্বর ফর্দে যে তারিখে স্বাক্ষর করেছেন সে সময়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধক্ষ ছিলেন না। তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন ০১/১২/২০০০ ইং তারিখ থেকে ১৪/০১/২০০২ ইং তারিখ পর্ষন্ত। (ট) নিয়োগ ও যোগদান পত্র প্রেরক ও প্রাপক উভয় স্থানে অধ্যক্ষ লেখা রয়েছে। এ ছড়াও নিজাম কলেজে যোগদান করে ওবায়েদুল হক বাবুল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত বেতন উত্তোলন, একই শেসনে নিয়মিত সরকরী ভোলা কলেজ থেকে বি.এ পাশ ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ড থেকে ফাযিল পাশ এবং একই শেসনে সরকারী বি এম কলেজ থেকে এম. এ পাশ পাশাপাশি ভোলা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাশ সহ নানাবিধ অবৈধ-অনৈতিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত। জানতে চোখ রাখুনমম- আসছে ভূয়া অধ্যক্ষ নিজামের নিয়োগ বাণিজ্যের খতিয়ান….