নুরউদ্দিন আল মাসুদ
ভোলার মানুষ অনেকটাই কৃষিনির্ভর। প্রায় ৯৮ হাজার হেক্টরে নিয়মিত চাষ হয় আউশ,আমন ও রবি শস্য।প্রত্যেকবার রবি ফসল কৃষকরা ঘরে তুললে ও এবার ফসল ঘরে উঠাতে পারে নি হাজার হাজার কৃষক।২৪ শে এপ্রিল হতে টানা বৃষ্টি হওয়ায় ফসলী জমি এখন পানিতে ভাসছে।
একদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ।নানা অভানে দিন কাটাচ্ছে ভোলার খেটে খাওয়া কৃষক।অপরদিকে অতিবৃষ্টি।ঘরে ফসল তুলতে না পারায় আহাজারির শেষ নেই কৃষকদের।
এ বছরে ভোলায় ৯৮ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে ১৭ হাজার হেক্টর জমির রবি ফসল পানিতে ভাসছে।ভাসছে মরিচ,বাদাম,সয়াবিন, মুগডাল,মশুরডাল,ভুট্টা সহ নানা ধরনের ফসল।ফসলের ক্ষতিতে কৃষকরা দিশেহারা।এ যেন তাদের জন্য চরম সংকট।
একদিকে কষ্টে গড়া ফসলের নেই বাজার মূল্য।অপরদিকে ফসল ঘরে না তোলার শোক যেন চরম বিপর্যয়ে ফেলেছে কৃষকদের এমনটাই জানিয়েছেন ভোলার ইলিশা,ধনিয়া ইউনিয়নের কৃষকরা।পরবর্তী আউশ ধান রোপনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুদান চাচ্ছেন এসমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্পসারন অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী ভোলাতে ১৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল অতিবৃষ্টির জন্য কৃষকরা ঘরে তুলতে পারে নি।প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ৩৭হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে ফলে ৬৩ কোটি টাকার ক্ষতি গুনতে হচ্ছে কৃষকের।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, ভোলা এর উপপরিচালক হরলাল মধু বলেন- ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা প্রধানের উদ্দ্যেশে আমরা একটি তালিকা তৈরী করছি।সরকারী অনুদান প্রাপ্ত ব্যক্তিদের অনুদান পাওয়ার জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন হরলাল মধু