ভোলা নিউজ বিশেষ প্রতিনিধি।
মোঃ নুরুল আহাদ তসলিম।
ভোলা ৩ আসন বর্তমানে তজুমদ্দিন উপজেলা ও লালমোহন উপজেলা নিয়ে গঠিত। বাংলাদেশের সংসদীয় আসনের আসন সংখ্যা হিসেবে ভোলা ৩ কে ১১৭ ভোলা ৩ হিসেবেই বাংলাদেশের আর পি ইউ রয়েছে । ১৯৮৬ সালের আগে এই আসনটি দৌলতখান তজুমদ্দিন এবং মনপুরা উপজেলা তিনটি উপজেলা নিয়ে এ আসনটি গঠিত ছিল।তবে আজকে জরুরী হয়ে পড়েছে তজুমদ্দিন উপজেলা ,লালমোহন উপজেলা কে আলাদা আসনে যুক্ত করার । কারণ ১৯৮৬ ইং সনের পরে তজুমদ্দিন উপজেলা এবং লালমোহন উপজেলা নিয়ে গঠিত হলেও তজুমদ্দিন উপজেলাটি সবসময়ই জাতীয় সংসদ সদস্য কাছে অবহেলিত ছিল। বিভিন্ন ভাবে তাঁদের তথা সংসদ সদস্য দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিলক্ষিত হয়েছে। যেমন একটি দেশের মানচিত্র কে দেখার সময় সামনের দিক কে উত্তর দিক ধরে চিহ্নিত করি এবার ভোলা জেলার মানচিত্র দেখলে বুঝবে পারবেন প্রথমে ভোলা সদর উপজেলা তার পর দৌলতখান উপজেলা, বোরহানউদ্দিন উপজেলা তার পর তজুমদ্দিন উপজেলা তার পর লালমোহন উপজেলা,তার পর চর ফ্যাশন উপজেলা মনপুরা। উত্তর দিক থেকে তজুমদ্দিন আগে লালমোহন পরে । সরকারী সংসদীয় আসন গেজেট তাই রয়েছে।কিন্তূ লালমোহন উপজেলা থেকে বিভিন্ন সংসদীয় প্রার্থী বৃন্দ তাঁদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা, বিভিন্ন পোষ্টারে বা যে কোন লেখনীতে
ভোলা -৩ ( লালমোহন – তজুমদ্দিন) অথচ লেখা উচিত ভোলা -৩ (তজুমদ্দিন -লালমোহন) । এই তজুমদ্দিন উপজেলা কে শুধু এখানেই ছোট করা শেষ নয়। লালমোহন উপজেলার কোন প্রার্থী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে গেলে আমাদের কে শুনতে হয় তজুমদ্দিন বাসী ভোট দেয়নি ,তজুমদ্দিন উপজেলার মানুষে ভোট দেয়নি। তজুমদ্দিন উপজেলা বাসীর জন্মই হয়েছে শুধু লালমোহন উপজেলার মানুষ কে ভোট প্রদানের করার জন্য। তজুমদ্দিন উপজেলার প্রতি লালমোহন উপজেলার নির্বাচক মন্ডলীর অনেক অনেক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। তজুমদ্দিন উপজেলা কে লেখায় ও কথা অবহেলা করেনি বিভিন্ন কাজের মধ্যমে তার বহিঃপ্রকাশ অব্যাহত রয়েছে।সে সব আলোচনা ২ য় পর্বের লেখার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।
মন্তব্য করুন