অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,
বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সেতুর নামকরণের বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে বহু চিঠিপত্র আসে, সবার অভিমত- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে সেতুর নামকরণ হোক।’
শনিবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের সেতু প্রকল্প এলাকায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী জানান, ‘শেখ হাসিনা-পদ্মা সেত’ নামকরণের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে লেখা হয়েছে এবং সেজন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে।
কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুর নামকরণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন- পদ্মা নদীর নামে সেতুর নাম হবে। প্রধানমন্ত্রী সৎ সাহস দেখিয়ে প্রমাণ করেছেন যে, তিনি বঙ্গবন্ধুর বীর কন্যা। সে কারণে ৩১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব ফান্ডে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। সেতুর নামকরণের বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে বহু চিঠিপত্র আসে, সবার অভিমত- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে সেতুর নামকরণ হোক।’
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় বিশ্বব্যাংক। শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী বলে আসছিলেন এই অভিযোগ অসত্য। আর বিশ্বব্যাংককে বাদ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু করতে অটল অবস্থান নেন তিনি। পরে কানাডার আদালতে দুর্নীতির সেই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
সেতুমন্ত্রী জানান, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে সরে যাওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সাহস দেখান বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ সাহসকে সম্মান জানাই। তার একক সাহসের সোনালি ফসল পদ্মা সেতু। তার একক অবদানের জন্য এই সেতু নির্মিত হচ্ছে। স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি, সাহায্য ছাড়াই সেতু নির্মাণ হবে। তাই ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই পদ্মা সেতুর নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ‘শেখ হাসিনা-পদ্মা সেতু।’
সেতুর কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫৯ শতাংশ ও মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭০ শতাংশ। ১৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্প এলাকায় এসে ৬০ শতাংশ কাজের উদ্বোধন করবেন।’
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বহুল আলোচিত এই সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে চলছে কাজ। তবে মাটির তলদেশে গঠন ভিন্নতায় ১১টি পিলারের নকশা নতুন করতে হচ্ছে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে সেতু নির্মাণ শেষ হচ্ছে এটা অনেকটাই নিশ্চিত। যদিও নতুন লক্ষ্য এখনো ঠিক করা হয়নি।
সেতুমন্ত্রীর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের সেতু প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের প্রমুখ।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ২৯সেপ্টেম্ববর-২০১৮ইং)