পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পূরকাঠী গ্রামের নূর হোসেন মৃধার বাড়ি থেকে মোশারেফ হোসেন খানের বাড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক মেরামতের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়কে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের উপকরণ। নিম্নমানের ইট দিয়ে সড়কের দুপাশ তৈরি করা হচ্ছে। কলাগাছ আর ডালপালা দিয়ে প্যালাসাইডিং নির্মাণ করে ভাঙন ঠেকানোর কাজ চলছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই সড়ক মেরামতকাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় আহমেদ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সিডিউল অনুযায়ী সড়কটির ভাঙন ঠেকানোর জন্য ৭৩টি খুঁটি স্থাপন করে ব্রিকওয়াল দিয়ে প্যালাসাইডিং নির্মাণ ও ২৫ এমএম কার্পেটিং করার কথা। স্থানীয়রা জানান, কয়েকজন শ্রমিক সড়কটির কাজ করছেন। সাইট পরিদর্শনের জন্য এলজিইডি অফিসের কোনো কর্মকর্তা আসেন না। ধুলোবালি দিয়ে সড়কটির গর্ত ভরাট করা হচ্ছে। দুপাশে দেয়া হচ্ছে চুলার মাটির মতো ইট দিয়ে। আর দীঘির পাড়ে ভাঙন ঠেকানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে কলাগাছ ও ডালপালা। এভাবে নামমাত্র কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা বাউফল এলজিইডি অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ বলেন, আমার কাছে শুধু প্রকল্পটির সিডিউল আছে। কার্যাদেশ এখনও হাতে পাইনি। অনিয়মের খবর পেয়ে আমি প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছি। কলাগাছের প্যালাসাইডিং ভেঙে ফেলেছি। অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি খবির সিকদার বলেন, কয়েক দিন পর ধানকাটা মৌসুম শুরু হবে। তখন শ্রমিক পাওয়া যাবে না। তাই আমি আগভাগেই কাজ শুরু করেছি। কার্যাদেশ ২/১ দিনের মধ্যেই পেয়ে যাব। সিডিউল অনুযায়ী সব কাজ করা হবে।
বাউফল উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী যুগল কৃষ্ণ বলেন, ওই কাজে কোনো অনিয়ম করার সুযোগ নেই। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।