ভোলার মনপুরায় যুবলীগ নেতাকে চাদাঁ না দেয়ায় জেলেদের ট্রলারে অগ্নিসংযোগ,হামলা ও ভাংচুর, আহত-১৫

আল-আমিন এম তাওহীদ-ভোলানিউজ.কম,

ভোলার মনপুরা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাজিরহাট ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতির নেতৃত্বে অসহায় জেলেদের ট্রলারে অগ্নিসংযোগ, হামলা চালিয়ে ৫টি দোকানঘর ভাংচুর , এবং আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ন কবীরসহ ১৫ জনকে পিঠিয়ে আহত করেছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে মুমুর্ষ অবস্থায় ৪জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
গত বুধবার (৩০মে) দুপুর ২টার দিকে, মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ফকিরহাট বাজার এলাকায় এঘটনা ঘটে।
স্থানীয়সুত্রে জানাযায়, মনপুরা যুবলীগের সম্পাদক মনির হোসেন ও হাজিরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি ফরিদেও নেতৃত্বে দুপুরের দিকে ৫০টিরও বেশি মটরসহ ফকিরহাট বাজার এলাকায় এসে প্রথমে ফারুক কোম্পানীর মাঝিরঘাটে ভাংচুর ও হামলা চালায়। এরপরে ৫টিরও বেশি দোকানঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং ঘাটে রাখা জেলেদের ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দেয়। আওয়ামীলীগ নেতা ও ফকিরহাটের ব্যবসায়ী মোঃ হুমায়ন কবীরকে দোকান থেকে বের করে রাস্তার উপর ফেলে পিঠিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে বাধাঁ দিলে তাদেরকেও পিঠিয়ে আহত করে। ১৫জনেও বেশি লোকজন আহত হয়।
আহতরা জানান, দুপুরের দিকে যুবলীগ নেতা মনিরের নেতৃত্বে ফরিদসহ প্রায়য় ৫০জনেও বেশি লোক মটর সাইকেলে এসে হঠাৎ ফকিরহাট বাজার এলাকায় ঢুকে ফারুক কোম্পানীর মাঝিরঘাট ভাংচুর, দোকান, জেলেদের ট্রলারে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর শুরু চালায় এবং আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ন কবীরকে দোকান থেকে বের করে পিঠিয়ে আহত করেন। এসময় আমরা বাধাঁ দিলে আমাদের উপরও সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এই হাজিরহাটের ফকিরহাট ঘাট থেকে যুবলীগ নেতা মনিরের ইঙ্গিতে ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা ফরিদ চাদাঁদাবী করে আসছিল। তাকে চাদাঁ না দেয়ার কারনে আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আমাদের ১৫জনেরও বেশি লোকের উপর হামলা চালায়।
হামলায় আহতরা হলেন, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ হুমায়ন কবীর, ফারুক কোম্পানী, মঞ্জু, মাইনুদ্দিন, মহিউদ্দিন,জামালসহ ১০জন।
যুবলীগ নেতা ফরিদের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি। তবে মনপুরা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন জানান, ফারুক কোম্পানীর বাসায় আসছি তার স্ত্রী ছেলে সন্তানের সাথে কথা হয়েছে সবাইকে বলছি আপনাদের ভয় নেই শান্তিতে বসবাস করেন আর হামলা হবে না।
এবিষয়ে হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিপক চৌধুরী জানান, এরকমের কোন ঘটনা ঘটেই নাই।
এবিষয়ে মনপুরা থানার ওসি মোঃ শাহিন বলেন, মারামারির ঘটনা ঘটেছে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।
এদিকে, মনপুরার প্রভাবশালী দুই যুবলীগ নেতা এঘটনা ঘটিয়ে উল্টো জেলেসহ অনেক অসহায় পরিবারের নামে মনপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করে তাদেরকে এলাকা ছাড়া করেছেন। এই দুই যুবলীগ নেতা বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। প্রায় সময়ই এদেরকে চাদাঁ না দিলে এলাকায় আশান্তি তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানাযায়। মনপুরা উপজেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে চাদাঁ উত্তোলনসহ অসহায় পরিবারদের উচ্ছেদের পায়তারা করছে বলেও জানান ভুক্তভুগী পরিবাররা। দুই যুবলীগ নেতার এসকল অনৈতিক কাজের পরিত্রানের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য বন ও পরিবেশ উপ-মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভুগী পরিবাররা।

(আল-এম, ৩১মে-২০১৮ইং)

SHARE